সোনারগাঁ জার্নাল
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জহিরুল ইসলাম নামের এক ফার্মেসী কর্মচারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ দিকে সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার বেসরকারী একটি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত্যুর পর হাসপাতালের লোকজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে জহিরুলের স্বজনরা হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ মিছিল করে জহিরুলের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি জানান।
এদিকে ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে প্রেরণ করে। মৃত জহিরুল উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আবুল হোসেনের ছেলে।
স্বজনরা জানান, পিরোজপুর ইউনিয়নের আবুল হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সোনারগাঁ নতুন সেবা হাসপাতালে ফার্মেসীতে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় রাতে ডিউটি করে হাসপাতালের একটি কক্ষে শুয়ে পড়েন। পরে হাসপাতাল থেকে স্বজনদের জানানো হয় জহিরুল ইসলাম মারা গেছেন।
এদিকে স্বজনরা হাসপাতালে এসে জহিরুলের লাশ শোবার ঘরে মেঝেতে পড়ে আছে তার হাতে পায়ে ইনজেকশন পুষ করার দাগ রয়েছে সাথে হালকা রক্তের ছাপ রযেছে। এর কিছুক্ষন পরই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।
জহিরুলের বাবা জানান, সকাল ১০টা দিকে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় তার ছেলে মারা গেছে। এসে দেখেন হাসপাতালের একটি মেজেতে লাশ পড়ে আছে হাতেপ পায়ে রক্তের দাগ রয়েছে। জহিরুলে স্বজনদের দাবি তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে গেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতিদিনের ন্যায় জহিরুল ডিউটি করে তার কক্ষে শুয়ে পড়েন। তাকে ডাকতে গেলে কোন সারা শব্দ না পেয়ে ভেতরে গিয়ে দেখেন সে অজ্ঞান অবস্থায় শুয়ে আছে। পরে তাকে সুস্থ করার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে পরিক্ষা নিরিক্ষা করে দেখেন সে মারা গেছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) আহসানউল্লাহ জানান, সোনারগাঁ নতুন সেবা হাসপাতালে এক কর্মচারী মারা গেছে শুনে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বলা যাবে।
Leave a Reply