নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোডে নির্মাণাধীন আজিজ কো-অপারেটিভ শপিংমলে গভীর রাতে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় সন্ত্রাসীরা মার্কেটের সাইবোর্ড ভাঙচুর, শ্রমিকদের মারধর এবং সাইট অফিসের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ৫ লাখ টাকা নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেছে মার্কেট কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এমন তাণ্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা। ঘটনায় আজিজ কো-অপারেটিভ এর সেক্রেটারি এস এম হারুনার রশিদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এজাহার থেকে থেকে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আজিজ কো-অপারেটিভের সাবেক চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম,তার স্ত্রী আফরোজা পারভীন, সাবেক পরিচালক ও তাজুল ইসলামের ভাই রফিকুল ইসলাম, সাবেক মার্কেটিং অফিসার সাইফুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ রাকিব ও কামাল, সাবেক সহকারি প্রকৌশলী আলিফ, স্থানীয় জিয়াউর রহমানসহ ১৫/২০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় শপিং মলে প্রবেশ করে।
সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় তারা শপিং মলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মিজানুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে মারপিট করে বের করে দেয়। এছাড়া শপিং মলটির নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওসমান আলী কনস্ট্রাকশনের ৩০ জন শ্রমিককে মারপিট শুরু করে। তাদের চিৎকারের শব্দে আশেপাশের লোকজন পুলিশে খবর দিলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরবর্তীতে পুলিশ চলে গেলে গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা আবারো শপিং মলে প্রবেশ করে সাইট অফিসের তালা ভেঙে নগদ পাঁচ লাখ টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফাইল নিয়ে যায়। এসময় শপিং মলের সাইনবোর্ডও ভেঙে ফেলে সন্ত্রাসীরা। এমনকি মঙ্গলবার সকালেও শপিং মলের স্টাফরা মার্কেটে প্রবেশ করতে গেলে তখনও সন্ত্রাসীদের দেখতে পান স্টাফরা।
অভিযোগে আরো বলা হয়, এর আগেও গত বছরের ২৬ অক্টোবর অভিযুক্তরা চাঁদা দাবি করে এই অফিসে হামলা চালিয়ে সিসি ক্যামেরাসহ টাকা নিয়ে যায়। সেসময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলাও রয়েছে অভিযুক্তদের নামে। মামলা নং-৩৮। ওই মামলায় চলতি বছর ৩১জানুয়ারি তাদের নামের চার্জশিটও দিয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। চার্জশীট নং-৩৯।
এছাড়া গত ৩ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে আজিজ কো-অপারেটিভের করা একটি রিটের প্রেক্ষিতে ডেভলপার হিসেবে মহামান্য হাইকোর্ট আজিজ কো-অপারেটিভের অংশের ৫৫ শতাংশ দোকান রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করতে নারায়ণগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্টারকে নির্দেশনা প্রদানসহ রুল জারি করেছেন। যার রিট পিটিশন নং-১৫৩৪০/২২।
এ বিষয়ে আজিজ কো-অপারেটিভের সেক্রেটারি এস এম হারুনার রশিদ বলেন, চার্জশিটভুক্ত আসামিরা আমাদের প্রজেক্টে প্রবেশ করে নজীরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা ঘটনার বিচার চাই। বিশেষ করে মানিলন্ডারিং ও দুর্নীতির মামলায় তিন বছর জেলে থাকার পর ৬ মাসে ১১২ কোটি টাকা আজিজ কো-অপারেটিভকে ফেরতের শর্তে জামিন পাওয়া সাবেক চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, আজিজ কো-অপারেটিভের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। ঘটনার সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply