সোনারগাঁ জার্নালঃ
সোনারগাঁ থানা বিএনপির কমিটি ঘোষনার ১৫ দিনেও পুর্নাঙ্গ কমিটির নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। কি কারণে কমিটির পুর্নাঙ্গ নামের তালিকা প্রকাশ করা হলো না তা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। তারা বলেন ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে নব্য ও দুর্বল মান্নান ও মোশারফের অনুসারীদের দিয়ে কমিটি গঠন করার কারণে থানা বিএনপি নামের তালিকা প্রকাশ করছে না। এব্যাপারে মান্নানের অনুসারীরা বলছে দুজনের নামের তালিকা শুধু প্রকাশ করা হয়েছে সেজন্য বাকিদের নাম বলতে পারছে না।
জানা গেছে, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং অন্যভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহেদ বিন ইমতিয়াজ বকুল। থানা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ার কারণে আজহারুল ইসলাম মান্নান তারাহুরা করে রাতের আধারে বিদ্রোহীদের বাদ নিয়ে তাকে আহবায়ক ও মোশারফকে সদস্য সচিব করে আহবায়ক কমিটি গঠন করেন। পরে তারা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় সম্মেলন করে ইউনিয়ন ও পৌরসভা কমিটি ঘোষনা করেন। এসব নামের তালিকা তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করার পর বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্রোহীরা আজহারুল ইসলাম মান্নান ও মোশারফের বিরুদ্ধে ঝাড়ু এবং জুতা মিছিল বের করেন পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
সম্প্রতি গত ১৫ দিন আগে থানা কমিটি ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। অনুমোদন দেয়ার পর সেই কমিটি নিয়ে লুকোচুরি শুরু করে থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন। কি কারণে তারা লুকোচুরি সে ব্যাপারে স্পষ্ট না কারণে বিদ্রোহী জানান পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করলে তারা নেতা কর্মীদের তোপের মুখে পড়বেন সে জন্য তারা কমিটির নাম প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছেন।
এব্যাপারে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন জানান, পুর্নাঙ্গ থানা কমিটি অনুমোদন হয়েছে। আমরা একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকল সদস্যদের পরিচিতির মাধ্যমে কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষনা করবো। আজহারুল ইসলাম মান্নান জানান, কমিটির অনুমোদন হয়েছে তা এখনই ফ্লাস করবো না একা মিটিং কল করে সবাইকে জানানো হবে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহামুদ জানান, আমরা সোনারগাঁ থানা বিএনপি ১০১ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটির অনুমোদন দিয়েছি।
Leave a Reply