সোনারগাঁ জার্নাল
সোনারগাঁ দুইটি দোকানে দূর্ধষ চুরি সংঘঠিত হয়েছে। সোনারগাঁ উপজেলা গেইট সংলগ্ন উদ্ভবগঞ্জ ব্রীজের পাশে ব্রাইট কম্পিউটার সেন্টার ও প্রান্তি ডিজিটাল স্টুডিও এন্ড বিদ্যাবন্ধু কম্পিউটার সেন্টারে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ১১টায় দোকান তালাবদ্ধ করে বাসায় চলে যায়। শুক্রবার সকাল ১০টায় দোকান খুললে ভিতরে বিভিন্ন মালামাল এলোমেলো ভাবে পড়ে থাকতে দেখে এবং দুইটি দোকানের টিনের চাল কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। ব্রাইট কম্পিউটার সেন্টারের মালিক উজ্জ্বল হোসাইন মাসুম জানায়, তার দোকানে থাকা ১টি লেনোভো ব্রান্ডের ল্যাপটপ, যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৫হাজার টাকা।
একটি সিসি ক্যামেরার ডিডিআর হার্ডডিষ্ক, কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ র্যাম, মাদারবোর্ডসহ ১০হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়াও দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকার সোনারগাঁ উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আব্দুস সালাম সুজনের মালিকনাধীন বিদ্যাবন্ধু কম্পিউটার সেন্টার ও বিপ্লব বর্মনের প্রান্তি ডিজিটাল স্টুডিও থেকে নগদ ৬হাজার টাকা, কম্পিউটারের বিভিন্ন সরঞ্জামসহ ৫হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এর পূর্বেও সংঘবদ্ধ চোরেরা উক্ত দোকান দুইটিতে চুরি করেছে।কিছুদিন আগে উদ্ববগঞ্জ ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে মাসুদ ভ্যারাইজি স্টোর ও আবুল সেনেটারীসহ বেশ কয়েকটি দোকানে চুরি করেছে।
সংঘবদ্ধ এ চোর চক্রের কারণে উদ্ববগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক ও ভয় কাজ করছে। উপজেলা প্রশাসনের সন্নিকটে ভয়াবহ এ চুরির ঘটনা কেউ মেনে নিতে পারছে না। জয়রামপুর গ্রামের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, পরপর এ চুরির ঘটনায় আমরা শংকিত। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নিয়মিত চুরির এ ঘটনা ঘটবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য ভট্টপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বটতলায় প্রতিনিয়ত মাদকের আখড়া বসে, প্রতিদিন দিনদুপুরে বখাটে ও নেশাগ্রস্থ বিপদগামী যুবকরা নেশা করে। এখানে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও মাদক সেবন করা হয়। এলাকাবাসী ভয়ে এদের বিরুদ্ধে কথা বলে না। এছাড়াও ভট্টপুর স্কুলের পিছনে মাদকের আখড়া বসে। জয়রামপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়া জানায়, মাদক সেবিদের অত্যাচারে আমাদের জীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে মাদক সেবন ও বিক্রি করা হয়।
জয়রামপুর গ্রামের গৃহিনী পারুল জানায় তাদের বাড়ির পাশে প্রতিদিন মাদক সেবন করা হয়। নিষেধ করলেও তারা শোনে না। মাদক সেবিদের অত্যাচারে আমরা দিশে হারা। প্রশাসনের হ্স্তক্ষেপ কামনা করে দ্রুত এখানে পুলিশি অভিযান চালানোর অনুরোধ করেন। চুরির ঘটনায় এলাকার মাদক সেবিরা জড়িত বলে অনেকে মনে করছে।
উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন ভয়াবহ মাদক সেবন ও চুরির ঘটনা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অবনতি পরিলক্ষিত হয় বলে অনেকে মনে করছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের ধরে আইনের আওতায় আনতে এলাকাসী দাবি জানিয়েছে।
Leave a Reply